আমি রিফাত হাসান। আমার প্রথম ঝর্ণা দর্শন ছিলো খৈয়াছড়া, ২০১৬ সালের ১৫ ই’ আগস্টে। প্রথম ঝর্ণা দর্শনেই প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে আসি। খৈয়াছড়ার শেষধাপে অসচেতনভাবে উঠার সময় পা পিছলে সরু পাথরের খাঁজ গলে পড়ে যাই নিচে! সাতাঁর জানায় সৌভাগ্যক্রমে সাঁতরে পাড়ে এসে ট্রেকিং শেষ করি সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায়। ‘মৃত্যু যে কোন মুহূর্ত্বেই থামিয়ে দিতে পারে সদা গতিশীল জীবনের গতিপথ’- শব্দগুলো মাথায় হাঁটু গেড়ে জেকে বসলো। তখন থেকেই মূলত জীবনকে নতুনভাবে দেখতে শেখা। মাথার ওপরের ছাদ বাড়াতে থাকলো অস্বস্তি; চার দেয়াল যেন টুটি ধরে আটকে দিচ্ছিলো নিশ্বাস। সেই থেকে সবুজে বাঁচতে চাওয়া আকুল আকুতি। ‘অপেক্ষা’ শব্দটির একমাত্র সমাপ্তি যেন বিশুদ্ধ সবুজে নিশ্বাস নেয়া। সময় এবং সুযোগকে বাগে এনে গাঢ় সবুজ কেবলই টেনে নিয়ে গিয়েছে নিজের কাছে সযতনে। হঠাৎ মনে হলো নিজের জন্যে দারুণ এই স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখা কিংবা যারা গল্প শুনতে চায়, যেন চা খেতে খেতে,আড্ডার ছলে এমন করে যদি গল্প বলে যাওয়া যেতো! যেখানে গল্পে কেবলই ‘গদবাঁধা খরচ বা গন্তব্যের ঠিকানা’ নয় বরং এমন অনুভুতি অনুভুত হবে যেন চোখের সামনেই জ্বলজ্বল করে ভ্রমণ স্মৃতি, যেন পড়ুয়া মানুষটিও ঐ ভ্রমণে আমাদের ভ্রমণসঙ্গী; সেখান থেকেই শুরু ‘ঘুড্ডি’ ।
শুভ্র উন্মুক্ত নীল আকাশে ঘুড্ডির সাথে উড়ার নিমন্ত্রণ রইলো আপনাকেও।
চলুক
ওরেহ! ❤️❤️🔥🔥
Best of luck
লিখতে থাক ❤❤